ঢাকা ভোর ৫:২৯ রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে

মোঃ আকাশ ইসলাম
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪ ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দ্রুত‌ই ডাকসুসহ সকল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিগত স্বৈরাচার আমলের মত কোন নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দেখতে চায় না। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী স্বৈরাচারবিরোধী সকল সংগঠনের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। এদেশের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ছাত্র সংসদ নির্বাচন। যার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে তারা তাদের অধিকার আদায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। এই যাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়েই শুরু করতে হবে।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর’২৪ সোমবার সকাল ৯ টায় বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি আয়োজন করে। র‍্যালিটি টিএসসি চত্ত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ, লাইব্রেরী, ডাকসু, মধুর ক্যান্টিন, অপরাজেয় বাংলা হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। ঢাবি সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দীন এর সঞ্চালনায় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এর সভাপতিত্বে র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার উন্মেষকেন্দ্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যে সশস্ত্র সংগ্রামেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। পাকবাহিনী একাত্তরের মার্চে স্বাধীনতাকামীদের দমনের অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০২৪ সালেও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে সবার আগে জেগেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জাতির মুক্তি সংগ্রামের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেছে আমাদের গর্বের এই প্রতিষ্ঠান। এই সকল সংগ্রামের মৌলিক আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় তা আজও বাস্তবায়ন করা যায়নি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে শাসকগোষ্ঠীরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। জনগণের ভাগ্য নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলায় মেতেছিলেন। এক‌ইসাথে দেশ পরিচালনায় যে ত্রুটিপূর্ণ সংবিধান রচনা ও বারবার সংশোধন করা হয়েছে তা শাসককে স্বৈরাচার করে তুলেছে। ইসলাম ছাড়া কখনোই মানবতার কল্যাণ, শান্তি ও মুক্তি আসতে পারে না। স্বৈরাচার পতনের পর সময় এসেছে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। তাই এবারের বিজয় দিবসে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে।

এসময় তিনি হিজাবফোবিয়া রোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল ক্যাম্পাস প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন। এবং বলেন, ক্যাম্পাসে কে কোন ধরনের পোশাক পরিধান করবে তাতে তো হিজাব বা নিকাব পরিধান করা বোনেরা বাঁধা সৃষ্টি করছে না। তাহলে ইসলামের ফরজ বিধান পর্দা পালনে কেন নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে। এটা জঘন্য অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাসে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ক্যাম্পাস প্রশাসনকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে।

ঢাবি সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ৫৪ তম বিজয় দিবসে আমাদের সবাইকে ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধী চেতনায় জেগে উঠতে হবে। আমরা ৭১ ও ২৪ লড়াইয়ে শোষন ও জুলুমের বিরুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছি। চলমান আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াইয়েও আমরা বিজয় অর্জন করব ইনশাআল্লাহ। স্বৈরাচারবিরোধী সকল শক্তিকেই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি বিদেশী হস্তক্ষেপ ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খায়রুল আহসান মারজান, উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সহ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক ইলিয়াস তালুকদার, শরিফুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলামসহ অনুষদ ও ডিপার্টমেন্ট নেতৃবৃন্দ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।