দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. কামরুল হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পবিার (১১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া। সিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানায় (মেট্রো) কর্মরত থাকাকালীন আসামিদের দুপুরের খাবারের বিল বাবদ ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের এই সুপারিশ করা হয়। এ সংক্রান্তে গঠিত সিএমপির তদন্ত টিম তার বিরুদ্ধে আসামিদের খাবারের বিল আত্মসাতের প্রমাণ পায়। একই ঘটনায় কামরুল পাশাপাশি তৎকালীন মেট্টোর হাজতখানার ইনচার্জ পরিদর্শক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। হাজতখানার আসামিদের খাবারের বিল হিসেবে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি কোষাগার থেকে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন তিনি।
এডিসি কামরুল হাসান বর্তমানে সিএমপির পিওএম (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) বিভাগে সংযুক্ত। এর আগে তিনি আদালতের মেট্রো হাজতখানায় এডিসি (প্রসিকিউশন) এবং এডিসি (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত গত সোমবার (৮ জুলাই) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ১১ কোটি চার লাখ ৩৫ হাজার ৯১৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।