৫০ কোটি টাকার মামলা থেকে বাঁচতে পাল্টা মামলা করে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। ঘটনাটি ফাঁস হতেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঐ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।
তাদের বক্তব্য- দুই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে বারবার গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারের শিকার হচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এতে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার সুর এর সাথে অপর কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আজিজুল হকের দীর্ঘদিন ধরে মনদ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারা পরস্পর পরস্পরের পদ পদবীর প্রতিযোগি ছিলেন। এ বছরের জানুয়ারি মাসে ডাঃ মোঃ আজিজুল হক সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসন ডাঃ মলয় কুমার সুরকে আসামী করে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে ৫০ কোটি টাকার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ১৬/২০২৪। এই মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তাধীন আছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে চলে আসায় সেটি প্রত্যাহার করার জন্য ডাঃ আজিজুল ইসলাম বারবার চাপ প্রয়োগ করছিলেন পরিচালক প্রসাশন মলয় কুমার সুর। কিন্তু ডাঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম ঐ মামলা প্রত্যাহার না করলে তার চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দেন মলয়। এমন কি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন। কিন্তু ডাঃ আজিজুল ইসলাম কোন ভাবেই মাথা নত না করায় এবার তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র করা হয়।গত ১৪ জুন ২০২৪ তারিখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর বাসা থেকে ফেরার পথে লিফটের সাথে আঘাত খেয়ে কপাল ও নাকে জখমপ্রাপ্ত হন পরিচালক প্রশাসন মলয় কুমার সুর। তখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে তার ওপর হামলা ও প্রান নাশের চেস্টা করা হয়েছে মর্মে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন মলয় কুমার সুর। এই মামলায় তিনি বলেন যে, মন্ত্রীর বাসার নীচে তার ওপর হামলা করেছেন ডাঃ মোঃ আজিজুল হক এবং তাকে মেরে নাক মুখ ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করেছেন। শাহবাগ থানার মামলা নং ৩৩ তারিখ ১৪/০৬/২০২৪ ইং। দঃ বিঃ ৩২৩/৩২৫/৩০৭ ধারায় এই মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এই মামলার বিষয়ে জানতে পেরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিস্মিত হয়েছেন।
তারা অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী তুলেছেন। এ বিষয়ে পরিচালক প্রশাসন মলয় কুমার সুর এর সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও তার নাগাল পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মোঃ আজিজুল হক বলেন, জানুয়ারি মাসে আমি ৫০ কোটি টাকার যে মামলা দায়ের করেছি সেই মামলায় চাপ সৃষ্টি করার জন্যই মলয় কুমার সুর এই মামলা দায়ের করেছেন।