পাবনার ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক প্রসূতিকে ঝাড়ুদার দিয়ে প্রসব করানোর ঘটনায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রসূতি জিমু লালপুর উপজেলার মাঝগ্রাম গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে গত ৬ জুন জমজম হাসপাতালে এনে ডা. নাফিসা কবীরকে দেখানো হয়। তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে জানান সব স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার রাতে জিমুর প্রসব বেদনা শুরু হলে রাত ১টায় জমজম হাসপাতালে ভর্তি করি। ডা. নাফিসা আবারও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বলেন, সব স্বাভাবিক আছে। ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা আছে। এরপর তিনি বাড়ি চলে যান। রাত ৩টার দিকে প্রসূতির তীব্র ব্যাথা শুরু হলে ডেলিভারির জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডা. নাফিসা হাসপাতালে না আসায় নার্স ও ঝাড়ুদাররা ডেলিভারি করান। এর কিছুক্ষণ পর আমাকে বলা হয়, মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে। পরে ডা. নাফিসা কবীর এসে একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রসূতির অবস্থা আশংকাজনক। তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালটির মালিক ডা. নাফিসা কবীর বলেন, ‘এ ঘটনা ম্যানেজ করে নিলে ভালো হয়। পুলিশ প্রসাশনের কাছে বক্তব্য দিয়েছি, তাই আর কোনো কথা বলতে চাই না।’
এ ঘটনায় সাইদুর রহমান বাদি হয়ে ডা. নাফিসা কবির, ঝাড়ুদার ও আয়া পারুল, সাথী ও রাসেলের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।