মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৪ নং শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমান ও তার লোকজন বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ৩জন নির্বাচিত সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
ইউপি সদস্যগণ হলেন, মদনপুর ওয়ার্ডের আব্দুল আলিম, খড়িবাড়িয়া ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদ এবং তখলপুর ওয়ার্ডের মকবুল হোসেন। আব্দুল আলিম ও আব্দুল মজিদ গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (দারিয়াপুর) এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম জানান, নির্বাচনের পর থেকে গত আড়াই বছর তাদেরকে পরিষদের ঢুকতে দেয়া হতো না। সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তাদেরকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক দিয়ে করানো হয়। কিছুদিন ধরে তারা পরিষদে যাওয়া আশা করলেও তাদের দিয়ে কোনো কাজ করানো হয় না। তাই বুধবার দুপুরে তারা ৩ জন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তারা মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার বিষয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষদের দিয়ে তালিকা করা ও ভাতা প্রদান করার বিষয়টি বাদ দিতে বলেন। তারা নির্বাচিত সদস্য হলেও মদনপুর ওয়ার্ডে ছাত্রদলের সাবেক উপজেলা সভাপতি বাবলু মিয়া, খড়িবাড়িয়া ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মতিন ও তখলপুর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী কাজী আব্দুর রউফকে দিয়ে কাজ করাতে নিষেধ করেন।
এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আব্দুল আলীমকে তিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা তার অনুসারী বুলেট ও আশরাফুল তাদেরকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন।
পরে চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা হকস্টিক দিয়ে তাদের ৩ জনকে আঘাত করে।
এ সময় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড় দিলে তাকে গেট থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন মারধর করে। এদিকে আব্দুল মজিদকেও আটকিয়ে মারধর করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (দারিয়াপুর) ভর্তি করেন।আব্দুল আলীমের মাথায় হকিস্টিকের প্রচন্ড আঘাত লেগেছে।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে মদনপুর ও শ্রীপুর গ্রামের চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন মশিউর রহমানের বাড়ি ঘরে ইট ছোড়ে। অপরদিকে চেয়ারম্যানের লোকজনও ৩ তলার ছাদ থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তৈয়ব খান ও আব্দুল হান্নান নামে দুই যুবলীগ নেতা আহত হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেবেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।