আফগানিস্তানের বাঘলান ও বাদাখশান প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাদাখশান প্রদেশে। সেখানে এক পরিবারের ১০ সদস্যদের মৃত্যু এবং একজন আহত হয়েছেন। এছাড়া বাঘলান প্রদেশের দোশি জেলার লারখাব এলাকার ছয়জন মারা গেছেন। অনেকেই নিহতদের লাশও খুঁজে পাননি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তার আর্জি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যায় গত সপ্তাহে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বন্যায় শতাধিক আবাসিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে।
সৌদি আরবের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস। খবর রয়টার্সের।
এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন ব্যক্তির বরাতে ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে সৌদি আরবকে ইঙ্গিত দিয়েছে।
২০২১ সালে আমেরিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি সামরিক অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি এবং রিয়াদের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে নাখোশ ছিলেন বাইডেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড ঘিরেও সৌদির বিরুদ্ধে সরব ছিল মার্কিন প্রশাসন।
বাইডেন সরকারের এমন অবস্থানের জেরে মার্কিন অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরবের কাছে বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্র বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যদিও যুগের পর যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম মিত্র সৌদির কাছে এসব অস্ত্র বেচে আসছিল আগের মার্কিন সরকার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রিয়াদ ও তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একগুচ্ছ চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব।
তবে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সরাসরি এই আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত না।
এসব বিষয়ে কথা বলতে হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকারি যোগাযোগ অফিসের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।