বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করেন।বিসিকের পক্ষে বিসিক কর্মকর্তা সমিতি ও বিসিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরবর্তীতে বিসিক বোর্ড রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এসময় বিসিক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ জুম অ্যাপ’র মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের শ্রম, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একটি বিলের মাধ্যমে ‘ইপসিক’ তথা বর্তমান ‘বিসিক’ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি খাতের মুখ্য প্রতিষ্ঠান।বিসিক সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে উন্নয়নমুখী ও জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। ফলে বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশে নতুন নতুন শিল্পগড়ে উঠেছে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি ৩০ মে শিল্প দিবস ঘোষণা, জেলা পর্যায়ে বিসিক মেলা আয়োজন, এপিএ লক্ষ্য
মাত্রা অর্জনে প্রথম স্থান প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়ও তিনি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া মতামত গ্রহণও আলোচনা করেন।বিসিকের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারা সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিচালক (অর্থ) কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দেশের রপ্তানিখাতে বিসিকের অবদান ১১শতাংশ যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া ও বিসিকের পরিচালকবৃন্দ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিসিককে এগিয়ে নিতে পরামর্শ প্রদান করেন ।