ঢাকা সন্ধ্যা ৭:১৬ রবিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কামরাঙ্গীরচর এলাকায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৫, ২০২৪ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কামরাঙ্গীরচর ডিপিডিসি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ত্রিকোণাকার জমি নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

জমির মালিকানা দাবিদার মোঃ রনি গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, তিনি গত অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে ডিপিডিসি সংলগ্ন ত্রিকোণাকার জমিটি পূর্বের মালিক হতে খরিদ করেন যাহার দলিল নং ৩৭৯৬  উল্লেখ করেন যে, দীর্ঘদিন খালি পরে থাকা জমি রনি খরিদ পরবর্তী সময়ে তাঁর নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করলে বিপত্তি বাধে। যে কারণে জমিটি নিজের আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ হচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে জমিটি ক্রয় করার পরের দিন অক্টোবর কৃষক দল নেতা স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন তাঁর ভাই এবং তাঁদের সহযোগীরা জমিটিতে ক্লাব নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। প্রাথমিকভাবে মৌখিক বাধা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে আমি স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের সহযোগীয় ক্লাব নির্মাণে বাধা প্রদান করি। সাময়িক সময়ের জন্য ক্লাব নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকলেও পরে ক্লাব নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।

রনি এবিষয়ে আইনি পথ এড়িয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্থানের সহযোগীর মাধ্যমে সমাধান চেয়ে কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বরাবর বিষয়টি লিখিত আকারে প্রেরণ করেন বলে জানান।

এবিষয়ে কৃষকদল নেতা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ কালে তিনি দৈনিক পাঞ্জেরীকে জানান, উক্ত জমিটি পাকিস্তান পরবর্তী বাংলাদেশ সময় হতে মালিকানা হীন, যেটি পরে খাসজমি বলে ভূমি অফিসে গৃহীত হয়। রনির পূর্বে যে বৃদ্ধ মহিলাকে জমির মালিক দাবি করা হচ্ছে জমিটি তাঁর নামেও নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। সরকারি বিদ্যুৎ সেবা ডিপিডিসি এই জায়গা সহ পাশের কিছু জায়গা সরকারি প্রয়োজন সাপেক্ষে খরিদ কালে জমির মালিকদের ততকালীন সঠিক মূল্য সরকারি ভাবে পরিশোধ করেন। কিন্তু রনির দাবিকৃত রনির পূর্বের মালিক সরকারি অর্থ গ্রহণের সঠিক প্রমাণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারি অর্থ পায়নি। বিদ্যুৎ অফিসের কাজে ব্যবহৃত জায়গার পাশে ত্রিকোণাকার এই জায়গাটি ডিপিডিসির। তবে ততকালীন ওয়ার্ড কমিশনার ঢাকা ওয়াসার কাজে ব্যবহারের জন্য ত্রিকোণাকার জায়গাটুকু খালি রাখেন।দীর্ঘদিন খালি থাকার পর সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্লাব  নির্মাণ করেছিলেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের পরে আওয়ামী লীগ ক্লাবটি রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন পরবর্তীতে ক্লাবটিকে মেরামত করে পুনরায় বসিবার উপযোগী করার চেষ্টা কালে, রনি বারবার বাধা প্রদান করে এবং নিজেকে উক্ত জমির মালিক দাবি করে। বাধা প্রদানের এক পর্যায়ে ১০ অক্টোবর রনি তাঁর সহযোগীরা মিলে ক্লাবে ভাংচুর চালায়। ক্লাব ভাংচুরে স্থানীয় বিএনপি নেতার সংশ্লিষ্টতা থাকায় তিনি এবিষয়ে বিএনপি’র মহানগর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উভয় পক্ষের সাথে মতবিনিময় শেষে স্থানীয় থানা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগীর মাধ্যমে এটি সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেনা ও রাজনৈতিক সংগঠনের পরামর্শের ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে কামাল হোসেন জানান।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।